লিটন সরকার বাদল,
● ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রবল আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।এদিকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সংকেত বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছে অধিদপ্তরটি। এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল নৌযানকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এজন্য বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানোর পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতি সত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে উত্তর বাউত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।তবে, ঘূর্ণিঝড়টি কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে আ’ঘাত হেনে চলে যাবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদেরা। অবশ্য যেখানেই আ’ঘাত হানুক না কেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মহাপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরের’ মতো ভয়ঙ্কর হবে না বলে মনে করছেন তারা।