কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পশুর হাটের কাউন্টারে লোক বসা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এসময় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ জুলাই দুপুরে উপজেলার সৎমেহের বিবির বাজারে। আহত ইউপি চেয়ারম্যানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করেছে এবং অন্য আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায় সৎমেহের বিবির বাজারে অস্থায়ী পশুর হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বাজারটি ইজারা পায় জগতপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক টিটু। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে উক্ত বাজারটি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়। এতে নতুন করে যোগ হয় জগতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। আজ বেলা ১২ টায় সকলে উক্ত বাজারে আসে এবং কাউন্টারে কে কে বসবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এসময় যুবলীগ নেতা দেলোয়ার বলেন তার একজন লোক কাউন্টারে বসাতে হবে। এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তার কোন লোক কাউন্টারে বসতে পারবে না। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে দেলোয়ার বাজার থেকে চলে আসেন। পরক্ষণে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ প্রধান সবাইকে ডেকে নিয়ে বাজারস্থ তার ব্যক্তিগত নিজ অফিসে বিষয়টি নিয়ে বসেন। এমন সময় চেয়ারম্যানের ছেলে জনি ২০/৩০ জনের একটি দল নিয়ে শেখ ফরিদের অফিসে গিয়ে তার ছোট ভাই উপজেলা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্র লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন প্রধানের উপর সকলের উপস্থিতিতে অতর্কিত হামলা করে, আহত করে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। তখন বাজারের থাকা লোকজন ও পশুর হাটে সম্পৃক্তরা সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক টিটু ও আক্তার হোসেন প্রধান আহত হয়।এবিষয়ে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার বলেন আমি এমপি মহোদয়ের সাথে সকালে দেখা বাজারে যাই এবং আমি বলি আমার একজন লোক কাউন্টারে দিতে, তখন চেয়ারম্যান আমার লোক কাউন্টারে দিতে রাজি না হলে আমি বাজার থেকে চলে আসি, পরে কি হয়েছে জানিনা। শেখ ফরিদ প্রধান বলেন সকালে বাজারে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও দেলোয়ারের মধ্যে কাউন্টারে লোক বসা নিয়ে বাকবিতন্ডা হচ্ছে,আমি বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য আমার অফিসে সবাইকে ডেকে নিয়ে বসি এমন সময় চেয়ারম্যানের ছেলে জনি ২০/৩০জন লোক নিয়ে এসে আমার অফিসে প্রবেশ করে উপস্থিত সকলের সামনে আমার ছোট ভাইকে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করলে আমি আমার ভাইকে নিয়ে চলে যাই, পরে কি হয়েছে আমি জানিনা।এদিকে আহত মজিব চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেলে এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহম্মদ ফকির সাংবাদিককে বলেন এখন না পরে এবং কি আহত চেয়ারম্যানের ছবি তুলতেও নিষেধ করেন। এ বিষয়ে তিতাস থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)শহিদুল ইসলাম বলেন খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে আহত চেয়ারম্যানকে দেখে আসছি। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এঘটনায় সৎমেহের বিবির বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন সময় এই পশুর হাটকে কেন্দ্র করে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন।