কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় গৃহবধূ জেমি আক্তারকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্বশুরবাড়ীর লোকজন গৃহবধূকে নির্যাতনের পর ঘরে তালা দিয়ে রাখে। তারপর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ঘর থেকে উদ্ধার করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গৃহবধূ জরুরী বিভাগ চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে সদর দক্ষিন উপজেলার বালুয়ারচর এলাকার জয়পুর গ্রামের প্রবাসী আবু তাহেরের স্ত্রী। ২৪ জুন রবিবার দুপুর ২টায় সদর দক্ষিণ উপজেলার বালুয়ারচর এলাকার জয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জেমির হাত সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছে
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৪বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে সদর দক্ষিণ উপজেলার বালুয়ারচর এলাকার জয়পুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো: আবু তাহের ও একই উপজেলার সুয়াগাজী এলাকার জঙ্গলপুর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার মেয়ে জেমি আক্তারের বিবাহ হয়। বিবাহ পর থেকে বিদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে টাকার জন্য চাপ দিলে পারিবারিক শান্তির লক্ষ্যে ৪লাখ ৪০হাজার টাকা দেওয়া হয়।টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন সুখে শান্তিতে সংসার চলছিল। গত কিছুদিন পূর্বে আবারো ব্যবসার জন্য ২লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে টাকা দিতে না পারায় শাশুড়ী, স্ত্রী রোকসানা বেগম, মোসা: সেলিনা আক্তার তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। অস্বীকৃতি জানালে ২ নং আসামি ভিকটিম এর জা রোকসানা বেগম হত্যার উদ্দেশ্য তাকে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ৩ নং আসামী পেটে আঘাত করে ৪, ও ৫ নং আসামি গলায় ঘামছা পেছিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ঘটনায় আবু তাহের, রোকসানা বেগম, রাসেদা বেগম, সেলিনা বেগম, দেলোয়ার হোসেন গংদের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
আহত জেমি আক্তার জানান, আমার স্বামীর সাথে আমার জাল রোকসানা বেগমের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি আমি জেনে যাই। তারপর থেকে আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় । আমাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যা চেষ্টা করা হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে মামলা উঠানোর জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকী দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট খবর ছড়ানো হচ্ছে।
এদিকে হামলাকারীরা বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি ।সূত্র: জাগো কুমিল্লা