[caption id="attachment_2257" align="alignnone" width="300"] ছবি সংগ্রহীত[/caption]
তাকে শীঘ্রই আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা সদর সার্কেল ) তানভীর সালেহীন ইমন।শনিবার কুমিল্লা কোতয়ারী থানায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে এএসপি ইমন জানান, আদিল হত্যার পর থেকেই সবদিক থেকে সাদির নাম আসছে,খুন হওয়া আদিলের পরিবার, আটককৃত তিন আসামী ও শুক্রবার রাতে আটককৃত ১৫ কিশোরও সাদির সম্পৃক্ততার কথা বলেছে বলে জানায় ওসি আবু সালাম মিয়া।
ঈগল গ্রুপকে সংগঠিত করা ও আদিল হত্যার পরিকল্পনাকারী মুহিদ সাদি নগরীর মোগলটুলী উত্তর গাংচর এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার রাত ৯টায় আদিল হত্যার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মোগলটুলী থেকে আটক হয় ১৫ কিশোর। তারা আদিল হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দিতে খাকে।
পুলিশ তাদের ধরে এনে রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটককৃত কিশোররা জানায় তারাও ঈগল গ্রুপের সদস্য। ঈগল গ্রুপের সদস্যরা ঈগল গ্রুপের বিরুদ্ধে খুনিদের ফাঁসি দাবি করা কোন প্রকার ষড়যন্ত্র কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
১৩ মে সোমবার রাতে কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীতে কিশোর গ্যাং ঈগল গ্রুপের সদস্যদের হাতে খুন হয় আজমাইন আদিল। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর মোগলটুলী এলাকা দিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থী আদিল ও তার বন্ধুরা।
এ সময় কিশোর অপরাধী গ্যাং ঈগল গ্রুপের সদস্য অনিকের গায়ে মোটর সাইকেলের মৃদু ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অনিক আদিলের মোটর সাইকেল আটক করে ঈগল গ্রুপের অন্য সদস্যদেরকে খবর দেয়।
পরে এ গ্যাংয়ের অন্য সদস্য জাহিদ, আদর, সাদি ও খায়রুল এসে মোগলটুলী কর্ণফুলি পেপার দোকানের সামনে আদিলকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
https://youtu.be/BATy47dFUis