এসময় উভয় পক্ষের দুইজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার মজিদপুর গ্রামে। আহতরা হলো সামছুউদ্দিন(৪০) ও আনোয়ার (৩৫)।
আহত সামছুউদ্দিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে ঢাকা প্রেরণ করেছে। অপরজন আনোয়ার গ্রাম্য ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় সামছুউদ্দিন ও আনোয়ারদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে,তারই জের ধরে পাশের গ্রাম কাকিয়া খালির বিমল চন্দ্র দাসের মটর সাইকেলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জরিয়ে পরে।
সামছুাুদ্দিনের মা ছাবেদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন তার ছেলে সামছুউদ্দিন পাশের গ্রামের বিমল চন্দ্র দাসের মটর সাইকেলটি চালাতে আনে। এসময় সাইদুল,আনোয়ারগং মটর সাইকেলটি নিয়ে যেতে চায়,আমার ছেলে তাদেরকে না দিয়ে যার মটর সাইকেল তাকে ফেরৎ দিয়ে দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমার ছোট ছেলে সাইফুদ্দিনের স্ত্রী শাহিনুরকে মারধর করে,আমার ছেলে খবর পেয়ে বাড়িতে আসলে সাইদুল,আনোয়ারগং সংঘ বদ্ধ হয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরতর আহত করে।
এর আগেও ২০০৭ সালে আমার ছেলেকে তারা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে,আল্লাহ আমার ছেলেকে বাচিয়ে রেখেছে। এদিকে সাইদুলের জেটা নেকবর মেম্বার বলেন সামছুউদ্দিনের নিকট আমার ভাতিজা মটর সাইকেলটি চেয়েছিল চালানো জন্য এতে সামছু উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছোট ভাই সাইফুদ্দিনসহ প্রথমে আমার ভাতিজাকে মারতে টেঁটা বল্লব নিয়ে তাদের বাড়ির সামনে যায় এবং আমার ভাতিজা আনোয়ারকে টেঁটা দিয়ে পায়ের মধ্যে গাই মেরে গুরতর আহত করে,এসময় উভয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পরে।
এছরাও সামছু উদ্দিন গ্রামের একজন ত্রাস, বিদেশ থেকে কোন লোক আসলে তাকে টাকা না দিলে মারধর করে বলেও নেকবর মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন। অপরদিকে মটর সাইকেলের মালিক বিমল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন আমার কাছ থেকে সামছু উদ্দিন কাকা মটল সাইকলেটি নিয়েছে চালানোর জন্য।
শুনেছি এই গাড়ি নিয়ে নাকি মারামারি হয়েছে। তিতাস থানা ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন আহতের ভাই সাইফুদ্দিন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে,তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।