শাহীন সুলতানা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শিবপুর জোনাল অফিসের কর্মচারী মোঃ আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত ।
স্ত্রী হাফিজা ইয়াসমিন সরকারের দায়ের করা সিআর ২১২(১)১৩ নং মামলায় সম্প্রতি মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ৬(৫) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে স্বামী মোঃ আক্তার হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন কিশোরগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দা খান।
রায় ঘোষণা হওয়ার পর গত ২ জানুয়ারি আক্তার হোসেন এক আইনজীবীর মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ আদালতে সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম আনিসুল ইসলাম শুনানী অন্তে আক্তার হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাজা পরোয়ানা মূলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নূরাবাদ গ্রামের নূরুল ইসলামের পুত্র বর্তমানে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শিবপুর জোনাল অফিসের কর্মচারী মোঃ আক্তার হোসেন ইসলামী সরাশরীয়ত মতে ও কাবিন মূলে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার বাদেকল মোহনা গ্রামের মৃত আজহার আলী সরকারের কন্যা নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কুলিয়ারচর জোনাল অফিসের কর্মচারী হাফিজা ইয়াসমিন সরকারকে বিবাহ করেন। বিয়ের পর সংসার জীবনে তাদের ওরশে ২জন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তাদের ভরনপোষন নাকরে গত ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মোঃ আক্তার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তান রেখে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার নজরপুর গ্রমের ফাইজ উদ্দিনের কন্যা আছমা বেগম নামে এক নারীকে বিবাহ করেন।
এ সংবাদ পেয়ে হাফিজা ইয়াসমিন সরকার বাদী হয়ে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে স্বামী আক্তার হোসেনের নামে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ২১২(১)২০১৩।
হাফিজা ইয়াসমিন সরকার বলেন, তার প্রতারক স্বামীর কারাদন্ড ও জরিমানা হলেও নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি প্রতারক মোঃ আক্তার হোসেনকে চাকুরী থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানান।