উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে আবারো সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার এক টুইট বার্তায়, উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে অবস্থিত অসামরিক অঞ্চলে কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
জাপানের টোকিওতে জি টুয়েন্টি সম্মেলন শেষে দু' দিনের দক্ষিণ কোরিয়ায় সফরের কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ট্রাম্পের এ প্রস্তাবকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়েছে পিইয়ংইয়ং।
জাপানের ওসাকায় ১৪তম জি-টুয়েন্টি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে শনিবার পার্শ্ব বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সহ আরো অনেকে। বৈঠকের এক পর্যায়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'জি-টোয়েন্টি সম্মেলন শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সফরে যাব। সেখানে প্রেসিডেন্ট মুনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠক হবে। দেশটিতে অবস্থানরত আমাদের সেনাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪২ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখবো। আমাদের সেনারা সেখানে খুবই ভালো কাজ করছে।'
শুধু মার্কিন সামরিক সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন নয়, দুই দিনের ওই সফরে দক্ষিণ এবং উত্তর কেরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়েও দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুনের সাথে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। কোরীয় উপদ্বীপ পুরোপুরি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে সবপক্ষের মধ্যে আন্তরিকতা থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া সফর ঘিরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
শনিবার এক টুইট বার্তায়, উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে অবস্থিত অসামরিক অঞ্চলে কিমকে সাক্ষাতের প্রস্তাব দেন তিনি। ট্রাম্প আরো বলেন, দুই কোরীয় সীমান্তে দুই মিনিটের জন্য হলেও কিমের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন। আলোচনার জন্য কিমকে একটি সুযোগে দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে সীমান্তে কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের প্রস্তাবের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানালেও একে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে পিইয়ংইয়ং। চলতি বছরে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠেয় ট্রাম্প-কিম বৈঠক কোন চুক্তি ছাড়াই শেষ হওয়ার পর থেকে দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্কের আরো অবনিত হয়। এমন সম্পর্কের মধ্যেই আবারো কিমকে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
২০১৭ সালের নভেম্বরে দুই কোরিয়ার মাঝে বিভাজনকারী অসামরিক অঞ্চলে সফরের পরিকল্পনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওই সফর বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে দায়িত্বে থাকাকালীন জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামা সীমান্তবর্তী পানমুনজম পরিদর্শনে করেন।সূত্র: সময় টিভি