কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, ভৈরব প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওয়ার্স এসোসিয়েশন ও ডক্টরস ক্লাব অব ভৈরব এর সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ মিজানুর রহমান কবির ভৈরব বাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা প্রস্তুত থাকুন, ভৈরবে চারদিক থেকে করোনা ভাইরাস আমদানি হতে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীগণ শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্রেতাগন ভৈরব বাজারে আসতে শুরু করবে। যদি সড়ক পথ বন্ধ থাকে তাহলে নৌকা যোগে রায়পুরা তুলাতুলি, গৌরীপুর মাইঝের চর, আশুগঞ্জ, বাজিতপুর সহ আরো অনেক এলাকা থেকে লোকজন ভৈরব শপিং মলে আসবে। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে কিছু করোনা ভাইরাস ভৈরববাসীকে উপহার দিয়ে যাবে। আপনি শপিং মল খুলে দিয়ে বলবেন মানুষ ঘরে থাকতে এতো একটা তামাশা ছাড়া আর কিছু না। এরই মধ্যে বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী সাংবাদিক আদিল আহমেদ সে নিউমার্কেটস্থ তার কাপড়ের দোকান না খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যদি কোন কর্মচারী আক্রান্ত হয় তার দ্বায় দায়িত্ব কি দোকান মালিক বা অন্য কেউ নিবেন? দোকান মালিক সে আক্রান্ত হলে কি হবে, পরে তার আপনজন পরিবার তাদের সর্বনাশ সে নিজে ডেকে আনবে। অনেকের সাথে আমিও একমত বাঁচতে হলে জীবিকা লাগবে কিন্তু সে জীবিকার জন্য যদি জীবন হুমকির মুখে পরে সে কাজটা চিন্তা ভাবনা করে ভেবে নিয়ে করা ভালো। ভৈরবের স্হানীয় নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন, চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, চিকিৎসক সমাজ, পুলিশ প্রশাসন একসাথে বসে ভৈরব বাসীকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাচানোর লক্ষ্যে একটা পথ বের করার আহবান জানান তিনি। আশেপাশের এলাকায় বিশেষ করে বি-বাড়ীয়া, নরসিংদী, সিলেট আরো অনেক জায়গায় নিজেরাই মার্কেট বন্ধের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।