করোনা ভাইরাস : ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নতুন এ রোগটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় যারপরনাই চিন্তিত চীনসহ আশপাশের দেশগুলো।

করোনা ভাইরাসে চীনে এ পর্যন্ত ৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে তিন সহস্রাধিক। এ রোগের চিকিৎসায় চীন নতুন দুটি হাসপাতাল তৈরি করছে। চীনের প্রেসিডেন্ট রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় শঙ্কিত। অভিজ্ঞ মহল ভাইরাস রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে।

ইতিমধ্যে বিশ্বের কয়েকটি দেশে রোগটি দেখা দিয়েছে। আমাদের নিকট প্রতিবেশী ভারতেও অনেককে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। আমরা ঝুঁকির মধ্যে আছি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যে চীনের এক নাগরিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হাসপাতালে ভাইরাল উপসর্গ নিয়ে চীনের এক নাগরিক আজ দুপুরে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাস বহন করছেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইইডিসিআরকে তারা বিষয়টি জানিয়েছে। এদিকে আইডিসিআরএর পরিচালক বলেন, আমরা শুনেছি ওই হাসপাতালের একজন চীনা নাগরিক ভর্তি হয়েছেন। আমরা তার স্যাম্পল কালেকশন করে তা পরীক্ষা করব। এর আগে কিছুই বলা সম্ভব নয়।

এ নিয়ে কোনো ধরনের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমরাও নিশ্চিত হতে চাই। থাকতে চাই শঙ্কার ঊর্ধ্বে। আমাদের বিমানবন্দরের দ্বিস্তরের পরীক্ষা করে নাগরিকদের ঢুকানো হচ্ছে। সতর্কতার এ দিকটি খুবই ভালো। তবে সীমান্তপথে পরীক্ষার ঝুঁকি থাকায় শঙ্কা বাড়ছে।

জানা গেছে, চীনের একটি শহরে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিক আটকা পড়েছেন। তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের দূতাবাস নাকি কাঙ্ক্ষিত উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিষয়টি সত্য হলে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবহেলার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। আর আটকাপড়াদের নিরাপদে সরিয়ে আনা সময়ের দাবি।

ভাইরাস এ রোগটি ইঁদুর, বানর, বাদুর, বিষধর সাপ ও পাখির মাধ্যমে ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এ নিয়ে অধিক সতর্ক থাকা দরকার। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে নাকি সর্দি-কাশি ও নাক দিয়ে পানি পড়ে। আর মৃত্যু ঘটে দ্রুতই। তবে দেখা যাচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ নিয়ে বেশ তৎপর।

রোগটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন উদ্বেগের কারণ, তখন আমাদের অধিক সতর্ক থাকা সময়ের দাবি। সে দাবি পূরণে সতর্কতার পাশাপাশি আগাম প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রস্তুতি রাখতে হবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার। অধিক সতর্ক থাকতে হবে চীনা পণ্য আমদানিতেও।

প্রতিবেদক : বিশেষ প্রতিনিধি- পিএনএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.