বাংলাদেশে নতুন করে ২৬৬ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে করোনা। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮৩৮ জনে দাঁড়াল। এদিকে, আজ একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশে। ১৫ জনের প্রাণ চলে গেছে করোনায়।
করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। এরপর ২০ শতাংশ নারায়ণগঞ্জের। এছাড়া গাজীপুর, কেরাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
রাজধানীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মিরপুরে সবচেয়ে বেশি ১১ শতাংশ। করোনাভাইরাস প্রথমে টোলারবাগে শনাক্ত হলেও এখন তা মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে ৪ শতাংশ করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।
ডা. ফ্লোরা জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর বয়স বিভাজনে দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ শতাংশ ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রায় ১৯ শতাংশ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। নারী-পুরুষ বিভাজন দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
এছাড়া আজ পরীক্ষা করা হয়েছে ২১৯০ জনের। করোনায় আজ সুস্থ বাড়ি ফিরে গেছেন ৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৫৮ জন।
দেশে গেল ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ সরকারও সাধারণের চলাচল সীমিত করতে নানা পদক্ষেপ নেয়। এর অংশ হিসেবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় বাড়িয়ে সেই ছুটি এখনও চলছে।
বর্তমানে দেশে ভাইরাসটির কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মানার পাশাপাশি সব পরামর্শগুলো মেনে চলতে বলা হচ্ছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সেই নিয়ম ভাঙছেন সাধারণ মানুষ। আর এক কারণে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাস্তায় বেরনো নিষিদ্ধ করেছে সরকার।