কোভিড ১৯ করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়েছে, জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, মানুষের সেই বিপদের সময় জনগণের পাশে আছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।
গত ২২ শে মার্চ থেকে ব্র্যাক তার মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচি আদায় কার্যক্রম বন্ধ রেখে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর নির্দেশ অনুযায়ী করোনা প্রতিরোধ স্বাস্থ্যবিধি মানা মানা সচেতনতা এবং বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেন বিভিন্ন মসজিদ মন্দির বাজার ও রাস্তার মোড়ে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম অনুযায়ী হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ওষুধের দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচার জন্য বৃত্ত অঙ্কন ও বিভিন্ন যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো এবং কর্মীদের মাধ্যমে ব্রাকের সকল গ্রাহকদের মোবাইলে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা ও খোঁজ খবর রেখেছেন মেঘনা এলাকার ব্র্যাক কর্মীরা।
এদিকে সদস্যদের আর্থিক সঙ্কটের কথা কথা বিবেচনা করে মেঘনা এলাকার বিভিন্ন অফিসে প্রায় সদস্যকে বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয় এবং গ্রামীণ কৃষি ক্ষুদ্র মাজারি ব্যবসার অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে, ঋণ বিতরণের সময় সদস্যদেরকে দুটি করে সাবান, দুই প্যাকেট টয়লেট ক্লিনিং পাউডার দেওয়া হচ্ছে, ডিপোজিট এর লভ্যাংশের টাকা ও মৃত সদস্যদের নমিনি কে বীমার সুবিধা বিকাশ ও নগদে প্রদান করা হচ্ছে, তাছাড়া মেঘনা শাখার একাধিক সদস্যরা জানান করোনা কালীন সময়ে ব্র্যাকের স্যারেরা আমাদের কিস্তির জন্য কোন প্রকার চাপ দিচ্ছে না না চাপ দিচ্ছে না না এমনকি এই বিপদে স্যারেরা সবসময় খোঁজ খবর খবর নিচ্ছে, এই দুঃসময় ঋণ পেয়ে এবং বিকাশে এবং বিকাশে সঞ্চয় ফেরত পেয়ে আমরা ব্র্যাক এর নিকট কৃতজ্ঞ ও আমরা অনেক খুশি অনেক খুশি। এসময় ব্র্যাকের মেঘনা এলাকার মেঘনা এলাকার এলাকা ব্যবস্থাপক(ডাবি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এলাকা ব্যবস্থাপক (প্রগতি) লিটন চন্দ্র দাস, শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, হিসাব কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, সহকর্মী লিটন কুমার দাস, এমদাদুল হক, মুন্নি আক্তার, শামসুজ্জামান, মজিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সহ ব্র্যাক মেঘনা শাখার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।