করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সিলেটের দুটি হাসপাতালের ১২০ শয্যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও একটি ৩০ শয্যার হাসপাতাল।
রোববার (৮ মার্চ) রাতে সিলেটের সিভিল সার্জন ও করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন গঠিত মাল্টিসেক্টরাল কমিটির সদস্য সচিব ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল এ তথ্য জানান। জেলা প্রশাসনের গঠিত মাল্টিসেক্টরাল কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডা. প্রেমানন্দ বলেন, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) ১০০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের আর ২০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যদিকে সদর উপজেলার খাদিনপাড়ায় ৩০ শয্যার হযরত শাহপরান (রহ.) হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, এ পর্যন্ত জেলার কোথাও করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা শয্যা প্রস্তুত করে রেখেছি। করোনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
রোববার রাত পৌনে ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. মেজবাহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার অনুষ্ঠিত সভায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি ও ব্যাপক প্রচারের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সকল পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে অনুরোধ করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক প্রণীত লিফলেট ছাপিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সভায় অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের নিজস্ব বাসস্থানে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তির বিদেশ থেকে ফেরত আসার পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কোনো প্রকার উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে সিভিল সার্জন/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে এবং নিম্নোক্ত মোবাইল ফোন নম্বরে (হটলাইন) অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
যেকোনো প্রয়োজনে ০১৯৩৭ ১১০০১১, ০১৯৩৭ ০০০০১১, ০১৯২৭ ৭১১৭৮৪, ০১৯২৭ ৭১১৭৮৫ নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা প্রবাসী যুবক আক্রান্ত নন বলে জানান তিনি। রোববার (৮ মার্চ) তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টটি সিলেটে এসে পৌঁছেছে বলেও তিনি জানান। এতে তার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।