পল্লবীতে বাংলাদেশ একাত্তর পত্রিকার প্রকাশক মোঃ রাজু আহমেদকে প্রান নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে এ হুমকি দেয়া হয়। এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে পল্লবী থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যার নং-১০১৫ ও ১১৪১ এবং তারিখ- ০৯/১০/২০১৯ ও ১০/১০/২০১৯।
[caption id="attachment_5957" align="alignnone" width="300"] পল্লবীতে সাংবাদিক রাজুকে হত্যার হুমকি নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি।[/caption]
জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুর ডিওএইচএস বৃন্দাবন এলাকায় এক সুনামধন্য সাংবাদিক নেতার বাসায় দাওয়াতে মিরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরাসহ স্থানীয় অনেকে অংশগ্রহণ করেন। ওই দাওয়াতে মোঃ রাজু আহমেদও অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সকল সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় মাসুদ জিয়া ও তার সাথে কয়েকজন সেখানে আসেন। ওখানে রাজু এবং মাসুদ জিয়ার মধ্য বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাসুদ জিয়া ও তার সঙ্গীরা রাজুকে মারধর করে জখম করে এবং প্রান নাশের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজু আহমেদ বলেন, পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ নম্বরের বাসিন্দা কুখ্যাত মাদকব্যবসায়ী ও একাধিক মাধক মামলার আসামী নান্নুর মেয়ের জামাই সাংবাদিক পরিচয়ধারী মাসুদ জিয়া একজন চাঁদাবাজ। যেকিনা সাংবাদিক কথাটি উচ্চারণই করতে পারেনা অথচ সে ৩ থেকে চারটি পত্রিকা ও একটি চ্যানেলের চেয়ারম্যান বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাপটের সাথে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, গত গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) আমরা একটি দাওয়াতে অংশগ্রহণ শেষে আলোচনা করছিলাম। সেখানে মাসুদ জিয়া গিয়ে বলেন, আমি নাকি তার নামে মানুষের কাছে সমালোচনা করিয়াছি বলিয়া আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমি প্রতিবাদ করিলে আমাকে মাসুদ জিয়াসহ তার সাথে থাকা অজ্ঞাত কয়েকজন আমাকে মারধরকরে। আমি ডাক চীৎকার করলে আশে পাশের মানুষ আমাকে রক্ষা করে। তখন আমাকে ঢাকা শহর ছাড়া, মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আমি আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে থানায় জিডি করি।
এ বিষয় জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।