ঐক্যফ্রন্ট নেতারা কূটনীতিকদের বিভ্রান্ত করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানের গুলশানের বাসায় ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও বিজ্ঞানীদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকরা কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সমর্থন করেন না। তারা দেশে কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ দেখতে চান না। তারা অবশ্যই বিনা বিচারে কোনো হত্যা হলে, আইনের লঙ্ঘন হলে সেটাকে সমর্থন করেন না। দেশে ন্যায়ের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক এটা সব কূটনৈতিকরা চান।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দেখতে চান। তাদের এই মতবিনিময়ে কোনো বাধা নেই। আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। আমরাওতো কূটনৈতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করি ও করব। কাজেই আমি খারাপ দৃষ্টিকে দেখতে চাই না। আমার মনে হয় তারা কূটনৈতিকদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তারপরও, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ভুল তথ্য দিয়ে কূটনীতিকদের বিভ্রান্ত করতে চাইলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করার সক্ষমতা রয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে আন্দোলন করে কেউ কিছু করতে পারবে না। তারা অতীতেও সফল হয়নি। বিএনপি একটি বড় দল, তবে ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ একটি বড় দল কাজেই আন্দোলন করে কোনো কিছু হবে না। কারণ যেকোনো আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে।
বিএনপি আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের কথা বলে থাকে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজ্জাক বলেন, প্রথমত বেগম খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক কারণে জেলে যাননি। তিনি দুর্নীতির কারণে জেলে গেছেন। এতিমদের টাকা চুরি করায় তার সাজা হয়েছে। তাকে জেল থেকে বের করতে হলে আইনের মাধ্যমে বের করে আনতে হবে। আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবে না তারা।
আরএমএম/এমএসএইচ/জেআইএম