মাত্র দেড় মাসের মাথায় মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুই–ই দেখা হয়ে গেল অ্যাশটন টার্নারের।
ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করে আসার ক্ষমতার কারণে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগগুলোয় ‘অস্ট্রেলিয়ান ধোনি’ হিসেবে বেশ নাম কামিয়েছেন। আসলেই যে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেন, তা বিশ্ব প্রথম টের পেয়েছে গত ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজে। সে সিরিজ বাঁচানোর জন্য চতুর্থ ওয়ানডেটা জেতাই লাগত অস্ট্রেলিয়ার। এমন অবস্থায় ভারতের ৩৫৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন টার্নার। ম্যাচ ছিনিয়ে আনেন ভারতের হাত থেকে। তখন অনেকেই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালসের দিকে হিংসার দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। কেননা, এই ইনিংসের আগেই টার্নারের প্রতিভার খোঁজ পেয়ে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান।
কিন্তু এই আইপিএলে রাজস্থান টার্নারের ঝলক দেখছে কই? উল্টো লজ্জাজনক এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় তারকা। এবার আইপিএলে টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, আইপিএল খেলতে আসার আগে খেলা দুটি ম্যাচেও ‘ডাক’ মেরেছিলেন টার্নার। ভারতের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বল খেলে শূন্য করেছিলেন। বিগ ব্যাশ লিগেও পার্থ স্করচার্সের হয়ে ব্যাট করতে নেমে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন। ফলে, টানা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ডাক মারার ‘অনন্য’ রেকর্ডে নিজের নাম লিখেছেন দুর্ভাগা এই তারকা।
আইপিএলের ইতিহাসে টানা তিনটি ডাক মেরে আরও পাঁচ ব্যাটসম্যানের পাশে নাম লিখিয়েছেন টার্নার। গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের গোল্ডেন ডাকের আগে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষেও ডাক মেরেছিলেন। আরও মজার ব্যাপার, এই পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই আউট হয়েছেন প্রথম বলে। অর্থাৎ গোল্ডেন ডাক মেরেছেন চারটি। তিনটিই এবারের আইপিএলে।
টার্নারের ফর্ম প্রভাব ফেলেছে পয়েন্ট তালিকায় রাজস্থানের অবস্থানের ওপর। আট দলের টুর্নামেন্টে সপ্তম অবস্থানে আছে উদ্বোধনী আসরের চ্যাম্পিয়নরা।