[caption id="attachment_2268" align="alignnone" width="300"] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের- ফাইল ছবি[/caption]
সকাল ১০টার কিছু সময় পর তিনি সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আসেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আড়াই মাস পর অফিস করলেন তিনি। মন্ত্রণালয়ে আসার পর জরুরি ফাইলে সই করেন সেতুমন্ত্রী। পরে বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আল্লাহর রহমতে ও দেশবাসীর দোয়ায় আমি বেঁচে আছি। আমার বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অনেকেই।
চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাতৃস্নেহে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছেন, সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার ২ মাস ১১ দিন পর দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে বহনকারী বিজি-০৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন।
২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। গত ৩ মার্চ সকালে বুকের ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।
পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। ওই রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডা. ফিলিপ কোহ’র নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে গত ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করেন মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়।সংগৃহীত ইত্তেফাক
https://youtu.be/2-oaM1RW0M0