মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের ঐকান্তিক চেষ্টা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার ফলে,
অবশেষে নদীপথে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আসবে ত্রিপুরায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলক পণ্য রফতানির অনুমতি দিয়েছেন। ফলে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নদীপথে দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়ায় পণ্য আসবে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় এ কথা জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আজ টুইটারে বলেন, ত্রিপুরার জন্য এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক যাত্রায় বার্জে ৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট ঢাকা থেকে সোনামুড়ায় পৌছাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এই প্রথম জলযানে পণ্য ত্রিপুরা পর্যন্ত আসছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ত্রিপুরার সোনামুড়া পর্যন্ত গোমতী নদী দিয়ে পণ্য আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিয়েছে। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণের ট্রাফিক এন্ড প্রোটোকল ডিরেক্টর মহম্মদ রফিকুল ইসলাম ফোনে জানিয়েছেন নদীপথে পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহণের জন্য ১০০০ ব্যাগ সিমেন্ট পাঠানো হচ্ছে। পরিবহণ সংস্থাকে ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ওই নদীপথ পরিদর্শন কিছু সমস্যা দেখতে পেয়েছিলেন| সমস্যার কারণেই প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫০ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণের করার জন্যে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছেন। তবে, দাউদকান্দি থেকে বিবিরবাজার পর্যন্ত নদীপথে বেশি সাবধানতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার চক্রবর্তী বলেন, নদীপথে পণ্য আমদানিতে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা দারুণ ভাবে উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের ঐকান্তিক চেষ্টা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার ফলে নদীপথে পণ্য পরিবহণ সম্ভব হল।