ইরান থেকে তেল আমদানি করলেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ব্যবসার জন্য ইরান অথবা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেকোন এক দেশকে বেছে নিতে ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
এদিকে ইরানের তেল রপ্তানির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে ইউরোপীয়ান দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
শুক্রবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতা চুক্তির অবশিষ্ট সদস্য দেশগুলো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে বসে ইরান। বৈঠকে পরমাণু ইস্যুতে ইতিবাচক কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হলেও তা যথেষ্ঠ নয় বলে জানিয়েছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
তিনি বলেন, 'পরমাণু চুক্তি নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। কিন্ত আলোচনার এই সিদ্ধান্তে আমরা একমতও হয়েছি। ইনটেক্স নামে উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের একটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে। এমনকি তাদেরকে ইরান থেকে তেল ক্রয়ের আহ্বান জানিয়েছি।'
এদিন ইউরোপকে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্রের ইরান বিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, 'ইরানের তেল আমদানি করা যেকোন দেশের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে, ইরান অথবা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে কাওকে বেছে নেয়ার কথাও জানান তিনি।
ব্রায়ান হুক বলেন, 'ইরানের ওপর কারণ ছাড়া কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। তাদেরকে বার বার আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলতে চাই, ইরান থেকে অশোধিত তেলের যেকোন আমদানির ওপর আমরা নিষেধাজ্ঞা দেব। কার সঙ্গে থাকবেন এটা আপনাদেরকেই ঠিক করতে হবে।'
এদিকে যুত্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ইরান থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে চীন। আর তেহরান এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অনুরোধ না জানালেও ইরানের কাছেই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-ফোরহান্ড্রেড বিক্রির জন্য রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছে মস্কো।
ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য রক্ষায় যখন ইউরোপের অন্যান্য দেশ আলোচনায় ব্যস্ত ঠিক তখন দেশটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি সমর্থণ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে প্রতিহত করতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সঠিক বলেও জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল। যুক্তরাজ্যের এমন ভূমিকা চলমান উত্তেজনায় প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।সূত্র: সময় টিভি