বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ফণী’র আয়তন বাংলাদেশের আয়তনের চাইতেও বড়। বর্তমানে বিশাল এই ঘূর্ণিঝড়টির মুখ অধিকাংশই বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এবং আংশিক ভারতের উপকূলের দিকে। নিম্নচাপটি তিনদিন ধরে এক স্থানে স্থির থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে দানবীয় সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে।
বাংলাদেশেরর ভৌগলিক আয়তন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। আর ফণীর আয়তন ২ লক্ষ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল, সেখান থেকে এখন উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। বর্তমানে মোংলা থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এর চারদিকে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করার পর বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া উপকূল অতিক্রম না করলেও বাংলাদেশে আসবে।
এটি ভারতীয় উপকূলে আঘাত করে দুর্বল না হয়ে যদি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে তাহলে তা ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় এবং সিডরের চেয়েও অনেক বেশি প্রবল বেগে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন এই তথ্য।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমদ জানান, শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় ঝড়টি মূল আঘাত হানতে পারে। তবে এরা পরিবর্তনশীল। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসলেও এখন ফণী বেশ শক্তিশালী হয়ে গেছে। এখন তার গতি বেড়েছে।