কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ৩নং বলরামপুর ইউনিয়ন এর উত্তর বলরামপুর ও দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামের অবহেলিত কাচারাস্তা পাকা করার কাজ এগিয়ে চলছে। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন নিয়ে বেছে ছিলেন দুই গ্রামের গ্রামবাসীরা, বহুল কাঙ্ক্ষিত আলোচিত-সমালোচিত পাংগাশিয়া হইতে দক্ষিণ বলরামপুর নয়াবাজার পর্যন্ত রাস্তার পাকাকরনের কাজ এগিয়ে চলছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেকু দিয়ে মাটি কেটে প্রাথমিক ধাপ এর কাজ চলছে। এই রাস্তাটি নিয়ে বিভিন্ন সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
বৃহত্তর দাউদকান্দি উপজেলা থাকাকালীন বর্তমানে তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর ও দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামের রাস্তা নিয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৎকালীন বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী ডঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব ও আরেক বর্ষিয়ান প্রয়াত নেতা এম কে আনোয়ার সাহেব সর্বশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির এমপি আমির হোসেন সাহেব পর্যন্ত যে দুই গ্রামের অবহেলিত রাস্তাটি পাকা করে দিবেন,এমনটাই জানালেন বলরামপুর গ্রামের জনগণ, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেননি, শেষ পর্যন্ত কথা দিয়েছিলেন তিতাস হোমনার নতুন অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবিষ্কার সেলিমা আহমাদ মেরি এমপি,তিনি বলেন আমি প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নই, কাজে বিশ্বাসী।
শেষ পর্যন্ত উনি কথা রেখেছেন,তার আমলেই হচ্ছে রাস্তাটি দুই কোটি পয়ষট্টি লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে।
এই রাস্তাটি নিয়ে আরো সময় সাময়িক ভাবে তিতাস উপজেলার বিভিন্ন মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নতিপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছেন,তিতাস উপজেলার দুইবার এর সফল চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকারের নির্দেশে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তিনবার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মোহাম্মদ নুরুন্নবী, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই রাস্তাটির জন্য। মেঘ বৃষ্টিতে ভিজে ইঞ্জিনিয়ারের সাথে সময় দিয়েছেন।
এই রাস্তাটি এককভাবে কারো কোনো অবদানের ফসল নয়, এই রাস্তার কাজে কমবেশি সকলেই অবদান রেখেছেন,এবং এমপি সাহেবের দ্বারস্থ হয়েছেন সময় সময় জোরালোভাবে আবদার রেখেছিলেন মরহুম ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লার নিকট। দুর্ভাগ্য আমরা একজন সৎ ইঞ্জিনিয়ার কে হারালাম তিনি থাকলে হয়তো আজকে অনেক খুশি হতেন এই রাস্তাটি দেখে যেতে পারেননি। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।