নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী আরএমপি কর্ণহার থানার এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ এর বিরুদ্ধে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সম্প্রতি রাজশাহী উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারী নঁওহাটা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ধর্মহাটা নামক এলাকায় ইন্জিঃ আতিকুর রহমান আতিক পৌছালে রাজশাহী আরএমপি কর্ণহার থানার এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ দাঁড়াতে বললে দাড়ানোর সাথে সাথে কোন কথা না বলে হাতে হ্যানকাপ লাগিয়ে দেয় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে হাতে থাকা টর্চ লাইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। হাতে হ্যানকাপ লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সাইদুজ্জামান আতিককে বলেন, রাখ তোর প্রমান আমরা নিজেই প্রমান জানিস না পুলিশ কাওকে আটক করলে কিছু থাকা লাগে না ঘুষ দিয়ে কি এমনি পুলিশের চাকরি নিয়েছি।৩০ হাজার টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ এর হুমকি প্রদান করেন এসময় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এলাকাবাসীর সামনে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ভুক্তভোগী ইন্জিঃ আতিকুর রহমানকে ছাড়ে এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ বলে জানা যায়।এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারী উপ-পুলিশ কমিশনারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন আতিক । এলাকাবাসী জানান, কর্ণহার থানার পুলিশ বিশেষ করে এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ জন সাধারনকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এসকল পুলিশের জন্যই আজ পুলিশের এত বদনাম।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আতিক বলেন,২১ ফেব্রুয়ারী নঁওহাটা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ধর্মহাটা এলাকায় আসলে কর্ণহার থানার এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ দাঁড়াতে বললে দাড়ানোর সাথে সাথে কোন কথা না বলে হাতে হ্যানকাপ লাগিয়ে মুক্তিপন ৩০হাজার টাকা দাবি করেন আমি তো কোন অপরাধ করি নাই তাহলে কেনো আপনাকে টাকা দিবো বলতেই এসআই সাইদুজ্জামান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে হাতে থাকা টর্চ লাইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দিলে তখন আমাকে ছাড়ে । তিনি আরো বলেন,এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারী উপ-পুলিশ কমিশনারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে আমাকে এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ আমাকে অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে এবং আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হুমকি প্রদান করেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত তদন্ত করব। যদি এসআই সাইদুজ্জামান ও এসআই শাহিনুর-২ এর অপরাধ প্রমানিত হয় তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।