পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ইরান

আন্তর্জাতিক

মার্কিন বিমান হামলায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানি নিহতের পর যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই প্রেক্ষিতে ইরান সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ২০১৫ সালে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার একটিও আর মানা হবে না।

স্থানীয় সময় রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ইরান সরকার বলছে, পরমাণু সমৃদ্ধকরণ, সমৃদ্ধ পরমাণুর মজুত বা পারমাণবিক গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান।

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে তার নিজ শহরে (আহবাজ শহর) দাফনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহবাজে মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখো মানুষ কালো পোশাক পরে চোখের পানিতে তাদের প্রিয় ‘হাজি কাসেম’কে বিদায় জানাতে সমবেত হয়েছেন।

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে তার নিজ শহরে (আহবাজ শহর) দাফনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ বিবৃতি দিয়েছে দেশটি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহবাজে মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখো মানুষ কালো পোশাক পরে চোখের পানিতে তাদের প্রিয় ‘হাজি কাসেম’কে বিদায় জানাতে সমবেত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার দুদিন পর রোববার সকালে ইরানের আহবাজ শহরে জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ এসে পৌঁছায়। ওই হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এদিকে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চেয়ে দেশটির পার্লামেন্টের একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব পাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাবে ইরাক।

মার্কিন বিমান হামলায় শুক্রবার ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানি ও দেশটির শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী হাশদ আল-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল মুহানদিস নিহত হওয়ার দুদিন পর রোববার (৫ জানুয়ারি) প্রস্তাবটি পাস হলো।

ইরাকের রাজনৈতিক নেতাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডাকেন চার মাসের বিক্ষোভের পর দেশটির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি। জরুরি ওই বৈঠকে পার্লামেন্ট সদস্যরা ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেয়ার পক্ষে মত দেন।

ইরাকের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‌‌‘ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার আন্তর্জাতিক জোটের কাছে সহযোগিতা চেয়ে ইরাকে সেনা রাখার যে অনুরোধ করেছিল তা বাতিল করার প্রস্তাব করবে। কেননা ইরাকে সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে জয় (আইএসকে পরাজিত) অর্জিত হয়েছে।’

গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের অঘোষিত সেনাপতি ও দেশটির ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হন। তারপর থেকে চিরবৈরী ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরও চরমে। মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিতও দিচ্ছেন অনেকে। সোলেইমানিকে হত্যার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে ফের হামলার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ইরান যদি আমেরিকানদের ওপর বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পদ লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তাহলে তেহরানের ৫২টি স্থানে ভয়াবহ হামলা চালানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.