বিজেপির তাণ্ডব পশ্চিমবঙ্গজুড়ে,, অফিস দখল-নারী হেনস্তা

আন্তর্জাতিক

লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পরপরই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা–কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস দখলসহ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ফল প্রকাশের পর রাজ্যটির উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় তাণ্ডব চালায় বিজেপি নেতা–কর্মীরা। বাঁকুড়া ও বর্ধমানের পাশাপাশি কোচবিহার কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় হামলা হয়। কোথাও তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিজেপির।
তৃণমূলের অভিযোগ, বক্সিরহাট, মহিষকুচি, রামপুর, শালবাড়িতে তাদের অফিসে ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার সকালে সিতাইয়ের পার্টি অফিস ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চার-পাঁচশো মোটরবাইক ভাঙচুর করে বিজেপি কর্মীরা। সিতাইয়ের তৃণমূল নেতানেত্রীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে।
শীতলখুচিতে এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই বিধানসভায় ৭টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাথাভাঙার ফুলবাড়িতেও তৃণমূলের পার্টি অফিস দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “চারদিকে তাণ্ডব চলছে। তৃণমূল কর্মীরা বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছে।”
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, তৃণমূল তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ৪ জনকে আহত করেছে।
বিজেপি নেত্রী মালতী রাভা বলেন, “যা ঘটছে তার বেশির ভাগটাই জনরোষ। কিছু জায়গায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী হামলা করছে।”
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সিপিএম তথা বামেরা বিজেপিতে ভিড়ে তৃণমূলের ওপরে হামলা করছে।”
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, কালনা, বর্ধমান শহরের অনেক এলাকায়ও তৃণমূলের দলীয় অফিস দখল, আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কালনায় এক নারীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
বর্ধমান শহরে তাদের ১১টি পার্টি অফিস দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। একইভাবে দুর্গাপুর-ফরিদপুর (লাউদোহা) থানাও তৃণমূল কর্মীদের ওপরে হামলা ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।  তবে জনরোষ আখ্যা দিয়ে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে  বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.