গত বছরের হিসাব অনুযায়ী কানাডার জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ১ লাখ। ধারণা করা হচ্ছে যে, ২০৭৩ সালে দেশটির জনসংখ্যা হবে ৬ কোটি ২৮ লাখ। অভিবাসীদের ফলে কানাডার জনসংখ্যা আগামী ৫০ বছরে অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। গত সোমবার প্রকাশিত স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী কানাডার জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ১ লাখ। ধারণা করা হচ্ছে যে, ২০৭৩ সালে দেশটির জনসংখ্যা হবে ৬ কোটি ২৮ লাখ। যা গত বছরের তুলনায় ৫৭ ভাগ বেশি। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার হিসাব মতে, এক্ষেত্রে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ০.৯ শতাংশ। যেটিকে এজেন্সিটি গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধি হিসেবে নিয়েছে। এছাড়াও স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা গড়ে উচ্চ ও নিম্ন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিবেচনায়ও হিসেব করেছে। এক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার গড়ে ১.৬ শতাংশ হলে জনসংখ্যা হবে ৮ কোটি ৭২ লাখ।
আর বৃদ্ধির হার গড়ে ০.৩ শতাংশ হলে জনসংখ্যা হবে ৪ কোটি ১ লাখ। যদিও গত তিন দশকে দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.১ শতাংশ। একদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারণা করা হলেও ২০৩৬ সালের মধ্যে কানাডায় জন্ম অপেক্ষা মৃত্যুর হার বেশি হবে। এক্ষেত্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে অভিবাসীরাই মূল ফ্যাক্টর হবে। কানাডায় বর্তমানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী শিক্ষার্থী ও অস্থায়ী কর্মজীবী বসবাস করছে। এতে করে অস্থায়ী বাসিন্দাদের চাপে সম্প্রতি দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ক্রমাগত অবকাঠামোগত জটিলতা ও আবাসন সংকটের ফলে অভিবাসন নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনছে কানাডা সরকার। এক্ষেত্রে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা আগামী তিন বছরে ২০ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে কানাডায় ২৮ লাখ অস্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে। যা কি-না গত বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৩০ হাজার বেশি। তবে এজেন্সির হিসেব মতে, চলতি বছর থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬ লাখ ৪০ হাজার অস্থায়ী বাসিন্দা কমবে। এতে করে দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে ০.৭ শতাংশে পৌঁছাবে। যা গত বছরও ছিল ৩.২ শতাংশ। অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান