স্বপ্নের সেতু ডানা মেলছে। কাজে আসছে দ্রুত দৃশ্যমান অগ্রগতি। জাজিরা প্রান্তে এক সাথে দৃশ্যমান প্রায় ১ কিলোমিটার সেতুর আদলে এখন দ্রুত মাওয়া প্রান্তের কাজও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আগে বসানো ১২টি স্প্যানের ৯টি একসাথে জাজিরা প্রান্তে। একটি স্প্যান বসানো হয়েছে মাঝনদীতে। আর মাওয়া প্রান্তে আলাদাভাবে বসানো আছে ২টি স্প্যান। এখন সেগুলোর একটির পাশেই যোগ করা হবে নতুন স্প্যানটি।
আগে এখানকার ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারে বসানো হয়েছিলো দশম স্প্যান। এখন তার পাশে ১৩তম স্প্যানটি বসানোর জন্য এরমধ্যে প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে ১৫ নম্বর পিলারও। এ স্প্যানটি বসলে দুই প্রান্ত মিলিয়ে দৃশ্যমান হবে ১ হাজার ৯৫০ মিটার সেতু।
আপাতত মূল নদীর মাওয়া প্রান্তে পুরো গতিতে কাজ চালিয়ে নেয়া গেলেও সমানের বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাহত হবে কাজ। সেটাকে ঘিরে তাই নিতে হচ্ছে বিশেষ পরিকল্পনা।
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকেরা এই রাতের বেলা ঢেউ হোক বা তুফান তারা তো নদীর মাঝে ছোট ছোট স্পিডবোট দিয়ে আসা যাওয়া করছে। এটাও তো সমস্যা কিন্তু সমস্যা নিয়েই তো চলতে হবে।
চীন থেকে আনা স্প্যানের ছোট টুকরোগুলো মাওয়ার ইয়ার্ডে জোড়া লাগিয়ে প্রায় মাসখানেক সময় নিয়ে ধূসর রং করার কাজও সেরে ফেলা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন ওজন বহনে সক্ষম ভাসমান ক্রেনে তুলে নেয়া হয়েছে স্প্যানটি। জাজিরা প্রান্তে দূরত্বের কারণে স্প্যান নিয়ে রওয়ানা দেয়ার পর বসাতে ২ দিন সময় লাগলেও মাওয়া প্রান্তে একদিনেই স্প্যান বসিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। িসূত্রে:- সময় টিভি