মঙ্গলবার বিকাল চারটা থেকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। বর্তমানে তার অবস্থা অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছে দায়িত্বরত চিকিৎসক।
গণমাধ্যমে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসকরা জানান, দেশের বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের অবস্থা অপরিবর্তিত। অস্ত্রোপচারের পর অবস্থা স্বাভাবিক দেখা গেলেও মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হঠাৎ শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বেড়ে যায় তার। এরপর দ্রুততার সাথে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে বুধবার দুপুরে এটিএম শামসুজ্জামানের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে কথা বলেন তার ছোট ভাই সালেহ জামান সেলিম।
চিকিৎসকদের পাঠানো প্রেস রিলিজ বিষয়ে কিছু না জানলেও সেলিম বলেন, এটিএম ভাইয়ের অবস্থা অপরিবর্তিত। ডাক্তাররা আমাদের জানিয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই। তবে গত রাতে লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার কথা থাকলেও আরো তিনদিন লাইফ সাপোর্টে রাখার কথা ডাক্তাররা আমাদের জানিয়েছেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে অবস্থার কোনো পরিবর্তন না দেখলে আরো একুশ দিন লাইফ সাপোর্টে রাখার কথা বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এটিএম শামসুজ্জামান। মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ওইদিন রাত এগারোটার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে। শনিবার দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টার অপারেশন শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এটিএম শামসুজ্জামানকে।
ষাটের দশকের শুরুতে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও খল অভিনেতা হিসেবেই জনপ্রিয়তা পান এটিএম।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও মাঝেমধ্যেই শখের বশে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘আলফা’। ২৬ এপ্রিল ছবিটি দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।