মৌসুমে শুরু হওয়ার আগেই দিনাজপুরের বাজারে আসতে শুরু করেছে অপরিপক্ব লিচু। প্রতিকূল আবহাওয়া আর ঝড় বৃষ্টির আশংকায় পুরোপুরি পরিপক্ব এবং লাল রং আসার আগেই লিচু বিক্রি করতে শুরু করেছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। কৃষি বিভাগ বলছে, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর বাজারে নজরদারি করা দরকার।
দিনাজপুরের বাগানগুলোতে এখন লিচু পরিপক্ব হতে শুরু করেছে । গাছে গাছে মাদ্রাজি,বোম্বাই, কাঁঠালি ,চায়না , চায়না থ্রী,আর বেদানা । অসময়ের বৃষ্টির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার লিচুর মুকুল কম ছিল। এর পরও গাছের মুকুল রক্ষা ও ভালো ফলন পেতে দিন-রাত পরিচর্যায় করেছেন বাগান মালিক-লিচু চাষিরা।
মাদ্রাজি লিচু পরিপক্ব হয় ২৫ মের মধ্যে আর বোম্বে, বেদানা, চায়না থ্রি জুন মাসের ১০ তারিখের মধ্যে। কিন্তু যারা বাগান কিনে নিয়েছেন, সেইসব বাগান মালিক অপরিপক্ব অবস্থায় লিচু বাজারে নিয়ে আসছেন। বাজারে মাদ্রাজী প্রতি শ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। সব লিচু চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
কৃষকরা বলেন, ‘লিচু পরে গেছে। বোঁটা পরিপক্ব হয়নি। এই জন্যেই এইভাবেই বাজারজাত করছি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্প্রে করে লাল করেই বাজারজাত করছে।’
ঝড়, শিলাবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা এবং প্রখর রৌদ্রের কারণে লিচু আগাম পেরে বাজারে নিয়ে আসছে বাগান মালিকরা। তারা বলেন, আবহাওয়ার কারণে লিচু জ্বলে যাচ্ছে ফেটে যাচ্ছে তার কারণে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
বাজারে অপরিপক্ব লিচু বিক্রির অভিযোগ করলেন ক্রেতারা। তারা বলেন, ‘কিছুদিন পরে এই লিচু খেয়ে যে মজা পাবে মানুষ এখন তা হবে না। এটা তো পরিপক্ব লিছু নয়।’
পরিপক্ব এবং রং না আসার আগেই বাগান মালিকরা লিচু বাজারে আনার কথা স্বীকার করে কৃষি বিভাগের কর্মকতা প্রদীপ কুমার গুহ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জানান।সূত্র:- সময় টিভি