ভারী বর্ষণ ও উজানের ডলে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদনদীর পানি,তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়িসহ আবাদি জমি।

রংপুর বিভাগ কুড়িগ্রাম

কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে উত্তরাঞ্চলের নদনদী গুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।৪র্থ দফায় আসা বন্যার পানি কমতে না কমতেই আবারো প্লাবিত হতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের বাড়ি গুলো, সাথে তলিয়ে গেছে রাস্তা, ঘাট।সদ্য রোপন করা আমনের ক্ষেত গুলো থেকে পানি চলে যেতে না যেতেই আবারো পানি এসে তলিয়ে যাওয়াতেই আমনের আবাদ নিয়ে পড়েছেন কৃষকেরা আশংকায়।দেখা দিয়েছে এ জেলার মানুষের কষ্টের দিন।যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে মানুষ ঠিকমতো কর্ম করতে পারছে না সেখানে কিভাবে তাদের কষ্টের দিন যাবে এবং কিভাবে এই জেলা দারিদ্র মুক্ত হবে?এমটায় প্রশ্ন অনেকের।এদিকে সদ্য রোপন করা আমনে চারা গুলো একের পর এক বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে তলে থাকছে,সেখানে তো চারা গুলো নষ্ট হওয়ায় স্বাভাবিক। কৃষকেরা বলতেছেন ,হামরা এই ভাইরাসের দিনে কষ্ট করি ট্যাকা জোগাড় করি নিজে না খায়া আমনের আবাদ করলেম সেডাও পানির তলত গেলো, এলা যে কি হয় রোয়া গুলের।যদি নষ্ট হয়া যায় তাইলে হামরা ফির ট্যাহা কডে পামো। সারা ঠাই পানি ফির খালি যে ঝড়ি হয় এদেন দিনত কাই হামাক কামত নিবে। যদি কামত নিলে হয় না হয় নিজে না খায়া সেই ট্যাহা দিয়ে ফির আবাদ করলেম হয়। হয়তো এভাবে বন্যার পানি ও বৃষ্টি হতে থাকলে আমনের আবাদ নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা আবাদ কম হলে, খাদ্য সংকটে পড়তে হতে পারে এই জেলাকে।যেখানে এই জেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল সেখানে যদি বন্যা ও বৃষ্টির কারনে আমন ও অন্যান্য ফসল গুলো তলিয়ে যায়, ও নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে সেই জেলার মানুষের ভবিষৎ কি হবে? এমনটায় বলতেছেন অনেকে। এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল হক গত ২৪/০৯/২০২০ বৃহস্পতিবার বলেন উজানের ভারী বর্ষনের কারনে সেই পানি গুলো আমাদের উত্তরাঞ্চল দিয়ে নেমে আসে, আর সেই কারনে আমাদের এই জেলায় এবারে বন্যার পরিমানটা একটু বেশি। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামি ১-২ দিনের মতো পানি কমতে শুরু করতে পারে। তবে পানি কমলে ও কতটুকু আমনের রোয়া ভালো থাকবে কিংবা কতটুকু ভালো ফসল হবে।এটায় চিন্তার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *