দাউদকান্দিতে পুর্ব শত্রুতার জেরধরে এক যুবকে কুপিয়ে হত্যা।

দাউদকান্দি উপজেলা

 

৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে , দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের হাসনাবাদ ভিটি কান্দি গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৫/২০ জনের একটি দল বসত ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মৃত্যু গিয়াস উদ্দিনের মিয়ার ছেলে মোঃ আবুল কালাম (২৮) কে ঘর থেকে বাহিরে এনে নিজ উঠানে ফেলে কুপিয়ে আহত করে।

স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের মিন্টু মিয়ার পুত্র মোঃ হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল বসত ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ দেশীয় তৈরি চাপাতি, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড নিয়ে
আবুল কালামকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বসত ঘরের সামনে উঠানে এনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে আহত করে। মা ও স্ত্রীর আত্নচিৎকার শোনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়।

আহত অবস্থায় আবুল কালাম কে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।

নিহতের বড় ভাই ইসমাইল মিয়া বলেন, আমার ভাই কে খুনিরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে, আমার ভাই
আবুল কালামকে হাসপাতালে নেয়ার পথে হামলাকারী সকলের নাম বলে গেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

নিহতের মা মাসুদা বেগম বলেন,
আমার বুকের মানিকে আমার সামনেই কুপিয়ে মারলো আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।

নিহতের স্ত্রী সাইনুর আক্তার বলেন, আমার দুই সন্তান কে এতিম করলো আল্লাহ আমি এর বিচার চাই, আমার চোখের সামনে আমার স্বামীকে খুন করলো খুনিরা আমি, খুনিদের ফাঁসি চাই।

হাসনাবাদ ভিটিকান্দি গ্রামের হাবিব মেম্বার বলেন, আমি গ্রাম থেকে দাউদকান্দিতে কোরবানির গরু কেনার জন্য গিয়েছি হঠাৎ একজন ফোনে আমাকে এই ঘটনার কথা জানায়,আমি প্রকৃত খুনিদের বিচার দাবি করছি, হত্যাকান্ডের ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবি জানাই।

এব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় মোঃ হোসেনকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *