তিতাসে সম্পত্তির জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৫জন, উভয় পাল্টাপাল্টি থানায় অভিযোগ

তিতাস উপজেলা

 

কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের একা পাড়ায় জায়গা সম্পত্তির জের ধরে খাদিজা গং এবং আব্দুর রশিদ গংদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫ জন আহত,গুরুতর আহত ৩জন, উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি থানায় মামলা। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় খাদিজা গং এবং আব্দুল রশিদ গংদের বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে এবং উক্ত জায়গাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা দেওয়ানী কোর্টে মামলা চলমান অবস্থায় রয়েছে কিন্তু গত ৬ ই এপ্রিল মুঙ্গলবার আব্দুর রশিদ জোর পূর্বক বিল্ডিং নির্মান এর কাজ শুরু করেন। খাদিজা গংরা বিল্ডিং নির্মানে বাঁধা দিলে মৃত আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে আব্দুল রশিদ এবং আব্দুল রশিদ মিয়ার ছেলে মোঃ রিয়াজুল মোঃ আওলাদ এবং রশিদ মিয়ার মেয়ে মোসামৎ সোহাগী আক্তার, আব্দুর রশিদ মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম পুত্র বধু তুহীন বেগম সংঘবদ্ধ হয়ে খাদিজা গংদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে এতে সফর আলীর ছেলে মহিউদ্দিন এবং পরশ আলীর স্ত্রী আলেহা এবং পরশ আলীর ছেলে ইয়ার হোসেন ও রহিমা আক্তার গুরুতর আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য তিতাস স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে মহিউদ্দিন ও আলেহা আশংখা জনক হওয়া দায়িত্বরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করেন অনন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। অপর দিকে আব্দুর রশিদ মিয়ার পুত্র বধু তুহীন বেগম বলেন সংঘর্ষে আব্দুর রশিদের স্ত্রী বিলকিস বেগম গুরুতর আহত হয় উন্নত চিকিস্যার জন্য ঢাকা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে তিতাস থানায় অভিযোগ করেন। অপর দিকে আব্দুর রশিদ তিতাস থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ করেন অভিযোগের ভিত্তিতে তিতাস থানার তদন্ত ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম সরজমিনে তদন্ত করতে আসেন, উল্লেখ্য ঘটনা স্থানে পুলিশ যাওয়ার পূর্বে আব্দুর রশিদ এর ঘরে পূর্ব পাশে চৌকাট এর টিন ঘরের মালামাল অক্ষত লাগানো ছিল যাহা, সাংবাদিকদিকদের ক্যামেরায়,ভিডিও ধারন হয়,কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থানে পুলিশ গেলে একই চৌকাটের টিন খোলা ও ঘরের মালামাল আসবাবপত্র ওলট-পালট করে রাখেন।
রশিদ মিয়ার মেয়ে এবং ছেলের বউদের দায়ের কোপের একশান দেখলে মনে হয় বাংলা সিনেমাকে হার মানিয়ে দেয়, যাহা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, এবং রশিদ মিয়ার বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশীরা তাদের আচরনে অসন্তুষ্টি জানান, এবং বলেন রশিদ মিয়া টাকার জোড়ে সবার সাথেই খারাপ আচরন করেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। সংঘর্ষের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীরা বলেন বক্সপপ মোসামৎ খাদিজা বলেন বক্সপপ মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার বলেন।এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে যেকোনো সময় আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *