ঝালকাঠিতে নতুন ঘরের চাবি পেলো অসহায় জামাল মিয়ার পরিবার

ঢাকা বিভাগ জাতীয়
আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ঝালকাঠির অসহায় একটি পরিবার। শনিবার (৭আগষ্ট) দুপুরে চা দোকানদার জামাল মিয়ার হাতে ঘরের চাবী তুলে দেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. আকতারুজ্জামান, ঝালকাঠি জেল প্রশাসক মো. জোহর আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাইনুল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহার, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আহম্মেদ হাছানসহ অনেকে।
বৃদ্ধ জামাল মিয়া তার স্ত্রী, পাঁচ কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান নিয়ে সুগন্ধা নদীর পাড়ে সরকারী জমিতে কুড়েঘর বানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেন। সেখানে ঘরের বারান্দায় চা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। জেলা প্রশাসনের উদ্দোগে নদীর তীরে ডিসি পার্ক নির্মান করায় পার্কের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ২০১৯ সালের শুরুর দিকে জেলা প্রশাসন কতৃক জামাল মিয়ার বাসস্থানটুকু ভেঙ্গে নেয়া হয়েছে।
তৎকালীন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক ভুমিহীন জামাল মিয়ার পরিবারকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের বিকনা মৌজায় সাত শতাংশ সরকারী জমি বন্দোবস্ত করে দেয়। অর্থাভাবে জামাল মিয়া সেই জমিতে ঘর নির্মান করতে পারেনি। চলতি বছরের জানুয়ারীতে জামাল মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এই পরিবারটিকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ এ্যডমিনিষ্ট্রেটিভ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েসন ঝালকাঠি জেলার শাখার অর্থায়নে একখানা ঘর নির্মান করে দেন। ঝালকাঠির ডিসির তদারকিতে এনডিসি আহম্মেদ হাছান ঘরটি নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করেন।
ঘর পেয়ে যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন এই পরিবারের সসদস্যরা। জামাল মিয়া বলেন, “চা বেইচ্যা পেত্যেক মাইয়া পোলারে পরালেহা হরাইছি, এহন এই ঘরের পাশে গরু ছাগল পালমু, আয় রোজগার বাড়ামু। প্রধানমন্ত্রী মোগোদিকে চক্ষু মেইল্যা চাইছে, যতদিন বাচমু হেতোদিন শেখ হাসিনার লইগ্যা দোয়া হরমু।
জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ এ্যডমিনিষ্টেটিভ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েসন ঝালকাঠি জেলা সভাপতি মো. জোহর আলী বলেন, জামাল মিয়া ছিলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন।  মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ্যসোসিয়েসনের অর্থায়নে অসহায় পরিবারটিকে ঘরটি নির্মান করে দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *