করোনায় রাত-বিরাতে ঝু্ঁকি নিয়ে জনসেবা দিচ্ছেন -মেজর মোহাম্মদ আলী(অব.)

কুমিল্লা

ঢাকা-চট্রগ্রামের মূখ্য প্রবেশদ্বার দাউদকান্দি। ভৌগলিক দিক দিয়ে যেমন গুরত্ব তেমনি যুগেযুগে এ এলাকার বাঘাবাঘা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আবির্ভাবে গোটা দেশজুড়ে রয়েছে দাউদকান্দির বেশ পরিচিতি।

মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) তিনি এ উপজেলা পারিষদের পরিশ্রমী চেয়ারম্যান। তার কৃতিকর্মের জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। হয়েছেন গোটা চট্রগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এ তকমা তার কাজের গতির তীব্রতা বিশ্বসেরা দৌঁড়বিদ ওসাইন বোল্ডের মতো বাড়িয়ে দিয়েছে।যেকোনো জনসেবামূলক কাজ তিনি তড়িৎকর্মা হয়েই করে দেন।নিরহংকারী এ মানুষটির সাদামাটা স্বভাবসুলভ আচরণে মুগ্ধ শুধু খোদ তার দলের লোকই নয়,তার কাজের ও দুরদর্শিতার প্রসংশা করে বিরোধী ঘরোনার লোকেরাও।

কোভিড-১৯ এর আছরে লণ্ডভণ্ড গোটা বিশ্ব।স্থবির থমকে যাওয়া বিশ্বে এখন শুধু গগন বিদারী আহজারিতে ছেয়ে গেছে।আশার আলো নামক চাঁদটিও আজ অমানিশির ঘোর আঁধারে ছেয়ে আছে। আশা যেনো আজ ম্রিয়মাণ। এমন জঘন্য কালো আঁধার ভেদ করে কখন সুভ্র সতেজ আলো এসে আশার বাণী শুনাবে,শুনাবে আশাজাগানিয়া জয়গান সেটাও ধোঁয়াশা ও কুয়াশাচ্ছন্ন।

তবে ব্যতিক্রম পরিস্থিতি দাউদকান্দির বেলায়।দেখা যাচ্ছে একজন জনপ্রতিনিধি বা জনসেবক রাত-বিরাতে নাওয়া,খাওয়া।পরিবার-পরিজনক ও ঘর-সংসার ভুলে করোনায় নিজের জীবনের ঝুঁকি আছে এমন লঘু বিষয়টি বুঝতে পেরেও জনগণের পরমবন্ধু হয়ে জনসেবায় এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী।

সব বৈরীতা ছাপিয়ে মাঠে-ময়দানে আছেন আজ প্রায় ১ মাস গত হলো।কখনো ত্রাণ হাতে ছুটছেন নিরন্ন ও কর্মহীন মানুষের দ্বারে-দ্বারে।আবার কখনো করোনারোধে প্রতিকার এর প্রচারণায় ছুটে চলছেন নিরোবধি প্রত্যন্ত ও দুর্গম গ্রামের অজপারাগাঁয়ে।
সর্বস্তরের জনতাকে দলমত নির্বিশেষে তিনি এক আঁচলে রেখে দিচ্ছেন মায়া মমতা,ভালোবাসা ও আদর স্নেহ। তার পরশে দিকহারা নিরাশাগ্রস্থ মানুষগুলো একটু সাহস পেয়ে বুক থেকে নিস্তেজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

করোনারোধ বিষয়ক আলোচনা দিকনির্দেশনামূলক কথা বলতে অনেক সময় -সময় পেলে ছুটে আসেন ফেসবুক লাইভে। সেখানেও এ মতবিনিময় করেন।
তার টাইলাইনেও থাকে করোনারোগী সংক্রান্ত আপডেট। এ এপর্যন্ত এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন।
[৮] করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকে তিনি বিভিন্ন পন্থায় শক্তি ও সাহস জুগিয়ে থাকেন। ঐ সব রোগীদের দেন নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আস্থা।
এক কথা বলা যায় মেজর (অব.)মোহাম্মদ আলী মানে “একের ভিতরে দশ।”

এ বিষয়ে কথা হয় এক সময়ের সাবেক চৌকস, মেধাবি সেনাকর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলীর সাথে তিনি জানান,” দাউদকান্দি -মেঘনার মানুষের ভালোবাসায় আমি ধন্য।তাদের ভালোবাসার রঙে আমার জীবন রাঙিয়েছি।
এ মানুষগুলোর ভালোবাসা,শ্রদ্ধা ও স্নেহ থেকে আমি শক্তি পাই,কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই।তাদের এমন কার্পণ্যহীন ভালোবাসা থেকে বিধাতা আমার বেঁচে থাকার অক্সিজেন যোগান দেন।
আমি আল্লাহর কাছে একটা বিষয় প্রার্থনা করি,মেঘনা-দাউদকান্দির মানুষই আমার ঘর- সংসার।আমি চাই আমৃত্যু তাদের সাথে নিয়ে দুমুঠো ডাল -ভাত খাই।”

তিনি আরো বলেন, “আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন আমি কৃতজ্ঞ। আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি শুধু মানুষকে ভালোবেসে সেবা দিতে,জনসেবা দিয়ে যাবো আমৃত্যু-ইনশাল্লাহ।
আমি স্রেফ জনগণের একজন “সেবক” এর বেশি আমি নিজেকে কিছুই মনে করি না,করিনি,কখনো করবো নাও। পরিশেষে তিনি বলেন, এমন জীবন করিতে চাই গঠন যেনো মরণে হাসিবো আমি কাঁদিবে ভুবন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *